বিদেশ ডেস্ক:
থেরেসা মেডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি) সমর্থন নিয়ে যুক্তরাজ্যের নতুন সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন কনজারভেটিভ নেত্রী থেরেসা মে। শুক্রবার রাজপ্রাসাদ বাকিংহ্যাম প্যালেসে রানীর সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের অনুমতি পাওয়ার পর এ ঘোষণা দেন তিনি।

বাকিংহ্যাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট-এর বাইরে বক্তব্য রাখেন থেরেসা মে। এ সময় তিনি বলেন, তার সরকারের কাজ হবে যুক্তরাজ্যের বৃহত্তর স্বার্থ সংরক্ষণ করা।

থেরেসা মে বলেন, মহামান্য রানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। এখন আমি একটি সরকার গঠন করবো। এমন একটি সরকার যা এই কঠিন সময়ে আমাদের দেশকে একটি নিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

এর আগে স্বামী ফিলিপি মে-কে নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট থেকে রাজপ্রাসাদের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার সময় সংবাদিকদের মুখোমুখি হন থেরেসা মে। এ সময় সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, নতুন সরকার শক্তিশালী ও স্থিতিশীল হবে কি? তবে এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান কনজারভেটিভ পার্টির নেত্রী।

নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি) সমর্থন নিয়ে সরকার গঠনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই রানীর সঙ্গে এ বৈঠকে মিলিত হন থেরেসা মে। এরইমধ্যে ডিইউপি থেকে তাকে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ফলে ডিউপি-র সঙ্গে জোট করে সরকার গঠনের অনুমতির জন্যই তিনি রাজপ্রাসাদে ছুটে যান।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয় লাভ করলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি থেরেসা মে’র দল কনজারভেটিভ পার্টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে দলটিকে ৩২৬টি আসনে জয় পেতে হতো। কিন্তু ৬৫০টি আসনের মধ্যে ৬৪৯টি আসনের ফলাফলে দলটি পেয়েছে ৩১৮টি আসন। অর্থাৎ, ঝুলন্ত পার্লামেন্ট পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।